নিজেস্ব প্রতিবেদক: খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার বেলছড়ি ইউনিয়নের আমবাগান এলাকার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন প্রকাশ হাতকাটা জামালকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও ভূমিদস্যু অখ্যা দিয়ে তার অপকর্মের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর সকালের দিকে মাটিরাঙ্গা উপজেলার আমবাগান এলাকায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোলেমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো: নূরুন নবী জিহাদ, স্থানীয় ইউপি মেম্বার আমির হোসেন, মো. কামাল হোসেন খেদাছড়া বাজার চৌধুরী, এবং স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য মো: মিজানুর রহমান, আব্দুর সাত্তার, আব্দুল মান্নান, রুহুল আমিন, ফেরদৌস আক্তার ও কুলসুমা বেগম প্রমুখ।
মানববন্ধনে স্থানীয় বক্তারা বলেন, জামাল উদ্দিন প্রকাশ হাতকাটা জামাল শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি ব্যাবহার করে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে আওয়ামী ফ্যাসিবাদী ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে এলাকার সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন, সাধারণ মানুষের জায়গা জমি দখল, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করাসহ বিভিন্ন অপর্কমে লিপ্ত ছিল। আওয়ামীলীগের খোলস পরে, মুক্তিযোদ্ধা সেজে দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বক্তারা।
এদিকে জামাাল উদ্দিনকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে বক্তারা আরো বলেন, এলাকার সবাই জানে তার নাম জামাল উদ্দিন প্রকাশ মহিলা পাচারকারী জামাল কন্ট্রাকটর পিতা ফয়েজ উদ্দিন। গুচ্চগ্রামের রেশন কার্ড, মাস্টাররোল ও বিয়ের কামিনে একই নাম রয়েছে। অযোদ্ধা গুচ্ছগ্রামে তার নামে বরাদ্ধকৃত ১০৬ নং রেশন কার্ডটি তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে।
মুক্তিযোদ্ধা দাবী করার পেছনে রহস্য উদঘাটনে বক্তারা বলেন যে, বরিশাল জেলার আগৈলঝড়ার কুকাত আলী গোমস্তার ছেলে আব্দুর রহমান গোমস্তার এর মুক্তিযোদ্ধার সাময়িক সনদ পত্র জাল করে আব্দুর রহমান জামাল ব্যাবহার করে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করেন তিনি। এছাড়াও ২০০৫ সালের মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তাহার কোন প্রকার নাম অর্ন্তভূক্ত নেই বলে অভিযোগ করা হয়।
মানববন্ধনে এলাকার প্রবীন লোকজন জানান যে, জামাল উদ্দিন প্রকাশ হাত কাটা জামাল এর হাত ১৯৮৯/৯০ সালের দিকেও সুস্থসবল ছিলো তৎকালীন সময় সে ঢাকায় গিয়ে ফেরৎ আসলে হাতটি কাটা দেখা যায়। পরর্বতীতে জানাযায় যে সে নারী পাচারকারী হিসাবে ধরা খাইলে উক্ত এলাকার লোকজন তার হাত কেটে দিয়েছে।
সম্প্রতি সময়ে নতুন প্রতারণার আশ্রয় নিচ্ছে বলে উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, গেল ৫ আগস্ট বিকালে আমবাগান এলাকায় জামাল উদ্দিন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনরত ছাত্রদের প্রকাশ্য আপত্তিকর ভাষায় গালি গালাজ করেছে। এলাকার অনেকেই তার স্বাক্ষী আছে। অথচ ছাত্র জনতার অভ্যুথানে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর তিনি নতুন সুরে বলছেন আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়েছে। যা মিথ্যা ভিত্তিহীন বানোয়াট বলে দাবি করে সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
Leave a Reply