নিজেস্ব প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জ জেলা তাহেরপুর উপজেলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া তালুকদারের নামে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে বিভিন্ন কলাকৌসলে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাবদ মানি রশিদ বিহীন অর্থ সংগ্রহ ভর্তি ফরম বিক্রি ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে একাদ্বশ শ্রেণী পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১১০ টাকা হইতে ৫০০ টাকা আদায় মানি রশিদ বিহীন শিক্ষার্থী বিদ্যালয় হইতে ছাড়পত্র/প্রশংসাপত্র বাবদ সর্বনিম্নে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা আদায় উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থী (যাহারা অতি দরিদ্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়ের অনুদান প্রাপ্ত শিক্ষার্থী) তাহাদের থেকে প্রতি মাসের বেতন, সেশন ফি, পরীক্ষার ফি সহ- অন্যান্য নির্ধারিত অনির্ধারিত টাকা মানি রশিদ বিহীন জবরদস্তির মাধ্যমে চাপের মুখে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় অতঃপর দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করণের অভিযোগ উঠেছে। তাহারি ফলশ্রুতিতে দৈনিক পার্বত্য ডট কম এর প্রতিবেদক বিদ্যালয়ের দুর্নীতির রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে কাজ শুরু করিলে তাহার নিকট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিকট রক্ষিত তাহেরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ এর নামে ছাত্রী বেতন আদায় রশিদ বই ক্রমিক নাম্বার খছিত একাধিক বেতন আদায় রশিদ সম্মুখে চলে আসে যাহাতে শিক্ষার্থীর শ্রেণী, কত তারিখে টাকা আদায় করা হলো এবং কে বা কাহারা টাকা আদায় করলো তাদের নাম স্বাক্ষর বা সিল না থাকায় উক্ত বিষয়ে গভর্নিং বডির ১ নং সদস্য (অবসর প্রাপ্ত বিজিবির হাবিলদার মেজর) সামাউন কবির সাহেব প্রতিবেদকে জানান আমি গত ০৭-০৯-২০২২ তারিখে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ছাত্রী অভিভাবকের ভোটে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ১নং সদস্য হিসাবে নির্বাচীত হই। প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়টি আমি আরো আগে লোকমুখে জানতে পারি। আমি গভর্নিং বডির ১ নং সদস্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিদ্যালয়ের ছাত্রী অভিভাবকগণ আমার নিকট প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়টির উপর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। আমি অভিযোগ এর বিষয় গুলি প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্ত করা শুরু করি। আমার তদন্ত মতে বিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষর্থীদের নিকট রক্ষিত বেতন পরিশোধ রশিদ বহির কপি যাহা প্রতিনিধির সম্মুখে উপস্থাপন করা হয়। তাহাতে শিক্ষার্থীর অধ্যায়নরত শ্রেণী, তারিখ কে বা কাহার মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা হইলো তার স্বাক্ষর বা সিল নাই। বিদ্যালয়ের ছাত্রী অভিভাবকদের দাবি প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া তালুকদার দীর্ঘ বছর যাবত এই বিদ্যালয়ে চাকরি করিয়া নিজের খেয়ালখুসী মতে গরিব শিক্ষার্থী যাহাদেরকে প্রধানমন্ত্রী মহোদয় জড়ে পরার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন তাহাদের থেকে এমপিও ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিভাবে মাসিক বেতন দাবি করে নেন তাহার বিচার হওয়া উচিত এবং এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের সল্পতা থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক কিভাবে ০২ টি (দুটি) শ্রেণী কক্ষ দীর্ঘ বছর যাবত দখল করিয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস এর ব্যাঘাত ঘটাইতেছে? তাহারা আরো জানান যে, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের থেকে বিভিন্ন কলা কৌশলে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে মানি রশিদ বিহীন টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করে যা কোন কালে প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশে আনা হয় না বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির ১নং সদস্য আরো বলেন যে, আমি প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিষয়ে সকল প্রমাণ পত্র প্রাপ্ত হইয়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাহেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ একাধিক স্থানে সুবিচার পাওয়ার জন্য গত ১০/০৩/২০২৩ তারিখে অভিযোগ করিলেও বর্তমান সময় পর্যন্ত কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহন করেন নাই। প্রধান শিক্ষক সাহেব বহাল তবিয়তে তাহার অবস্থানে থেকে আমাকে দেখে নিবে বলাসহ হুমকি দমকি প্রদান করিতেছে। তিনি বিগত ২৮/০২/২০২৩ তারিখে হইতে বিদ্যালয়ে একাদিক গোপন মিটিং এর মাধ্যমে আমাকে কমিটি থেকে মাইনাস করেনর ফরমুলা হাতে নিয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সুএে জানতে পারি। শিক্ষার্থী অভিভাবকগন প্রধান শিক্ষক এর এরুপ দূর্নীতি, প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ক্ষমতার জোরে বিদ্যালয়ের লক্ষ লক্ষ টাকা/অর্থ আত্মসাৎ করনের সু বিচার পাওয়ার জোর দাবী জানিয়েছেন। সত্যতা যাচায়ের লক্ষে প্রধান শিক্ষক ইয়াহিয়া তালুকদার এর মুঠোফোন- ০১৭১৬-৬৭৫৩৪৯ নম্বরে একাদিক বার কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। (চলমান)
Leave a Reply