ডেস্ক নিউজ: খাগড়াছড়ি জেলায় মাটিরাঙ্গা উপজেলার মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আজম পাড়া (কান্ত কারবারি পাড়া) গ্রামের বাসিন্দা ২ সন্তানের জননী ৬সাসের অন্তসত্বা গিতা চাকমা (৩৮) কিডনি, হার্ট এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত হয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ( মহিলা ওয়ার্ড-৪ ) স্থানান্তরিত করা হয় সৃষ্টি জগতে রোগ আছে এবং তা থেকে মুক্তির উপায় আছে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন সময় মতো চিকিৎসা। চিকিৎস্যা জন্য দরকার অর্থের। চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি হওয়ায় বহু রোগী অকালে আদরের সন্তান কে এতিম করে পুথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরিবার পরিজনকে পর করে পাড়ি জমায় জীবনের অন্তিম পাড়ে। তাই সমাজের বিত্তবান থেকে শুরু করে সবাই যদি সাধ্যমতো সাহায্যের হাত বাড়ায় তাহলে বেঁচে যেত অনেক প্রাণ। তেমনি একজন দরিদ্র মা কিডনি, হার্ট এবং উচ্চ রক্তচাপ আক্রান্ত হয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। অবস্থার অবনতি হলে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে( মহিলা ওয়ার্ড-৪ ) স্থানান্তরিত করা হয় ২ সন্তানের জননী ৬ মাসের অন্তসত্বা মা গিতা চাকমা (৩৮) কে । সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, গীতা চাকমার স্বামী ভূমিহীন এক জন দিন মুজুর। দিন আনে দিন খায় । অন্যের দেয়া দরজাবিহীন বেড়ার ঘরে বাস করেন। টাকার অভাবে দুই ছেলের পড়া লেখা বন্ধ হয়েছে। যে বয়সে ছেলেরা বিদ্যালয়ে পড়লেখা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কথা ,সে বয়সে মানুষের বাড়িতে কাজ করতে হচ্ছে। এটাই কি নিয়তি। ভূমিহীন দরিদ্র শুক্রধন চাকমার স্ত্রীর চিকিৎসায় সহায় সম্ভল যা ছিল সব শেষ করেছে। এলাকার লোক জন সহযোগিতা করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এখন সন্তান নিয়ে এক রকম পথের ভিকারী। নুন আনতে পনতা পুরায়। এরই মাঝে স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ বহন করা কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবানদের নিকট মানবিক সাহায্যে আবেন করছেন গিতা চাকমার স্বামী শুক্রধন চাকমা। গিতা চাকমার স্বামী বলেন, আমি একজন দিনমজুর মানুষ। আমার ২সন্তান আছে। সারাদিনের কষ্ট উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোন রকমের আমার সংসার চলে। আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ২ লাখ টাকার প্রয়োজন। যা আমার পক্ষে জোগার করা সম্ভব নয়। তাই তার সুচিকিৎসার জন্য সরকার এবং সব শ্রেণির হৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট জরুরিভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
প্রতিবেশি উপেন্দ্র চাকমা বলেন, আমাদের পাড়ায় ২৫টি পরিবার রয়েছে। সবচেয়ে দরিদ্র শুক্রধন চাকমা। আমিও গরিব মানুষ। তাকে আমি থাকার জায়গা দিয়েছি। গীতা চাকমার চিকিৎস্যার জন্য ২ হাজার একশত টাকা পাড়া থেকে সংগ্রহ করে দিয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে সরকারের কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। এলাকার কারবারির (গ্রাম প্রধান)
বলেন ,লোকটা খুবই গরিব। সরকাররের কাছে সাহয্য আবেদন করা হোক। শুনেছি
পৌর সভায় সাহায্যের আবেদন করেছে ।
স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আলাউদ্দিন লিটন বলেন, আবেদনের প্রেক্ষিতে পৌরসভার থেকে পাঁচ হাজার টাকা বরাদ্ধ করা হয়েছে।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
শুক্রধন চাকমা,গিতা চাকমার স্বামী
পার্সানাল বিকাশ /নগন নাম্বার- 01825-663356।
Leave a Reply